কে এই মালালা?????

আপনি কি জানেন? মালালা ইউসুফজাই মুসলিমও না পাকিস্তানিও না!
________________________________________
পাকিস্তানিও নয়। তার জন্ম হাঙ্গেরিতে,
জন্মসূত্রে সে খ্রিস্টান। তার নামটিও নকল,
আসল নাম জেইন। এমনকি তার বর্তমান বাবা-
মা’ও আসল নয়। তার প্রকৃত বাবা-মা দুজনই
খ্রিস্টিয়ান মিশনারিজ। তারা মালালাকে তার
বর্তমান পিতা-মাতাকে বিশেষ উদ্দেশ্যে উপহার
হিসেবে দেয়। এবং এজন্য তাদেরকেও খ্রিস্টান
ধর্ম গ্রহণ করতে হয়। আর তাকে গুলি করার
ঘটনাটিও ছিল ইসলামের শত্রুদের সাজানো।
মালালা পাকিস্তানের সোয়াতে জন্মগ্রহণ
করেননি। এমনকি তিনি পশতুনও নন। সোয়াতের
বেসরকারি এক হাসপাতালের চিকিৎসক
ইমতিয়াজ আলী খানজাই 'ডন' সংবাদমাধ্যমের
প্রতিবেদকদের জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে
ডিএনএ আছে; যা প্রমাণ করে মালালা পশতুন
নন। একটি রিপোর্ট দেখিয়ে তিনি জানান, তিনি
মালালার ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন। সে সময়
মালালা শিশু ছিল। তখন তিনি ওই ক্লিনিকে কানের
সমস্যা নিয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে এসেছিলেন।
ডাক্তার তার নমুনা থেকে ডিএনএ পরীক্ষার
মাধ্যমে জানান, মালালা একজন ককেশিয়ান। তাঁরা
সম্ভবত পোল্যান্ড থেকে আগত।
এ তথ্য উদঘাটনের পর ডাক্তার মালালার বাবাকে
ডেকে পাঠান। তিনি মালালার ব্যাপারে বিস্তারিত
জিজ্ঞাসা করলে মালালার বাবা স্তম্ভিত হয়ে
পড়েন এবং তোতলাতে শুরু করেন। মালালার বাবা
ডাক্তারকে বলেন, ‘মালালার প্রকৃত নাম জেইন
এবং 1997 সালে সে হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ
করে।’ তার প্রকৃত মা-বাবা খ্রিস্টান মিশনারি
ছিলেন; যাঁরা 2002 সালে সোয়াতে বেড়াতে
এসেছিলেন এবং মালালাকে উপহার হিসেবে তার
বর্তমান মা-বাবার কাছে রেখে যান; যখন তাঁরা
গোপনে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন।
যখন ডনের প্রতিবেদক ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা
করেন, কেন তিনি মালালার আসল পরিচয় এখন
প্রকাশ করছেন, তখন ডাক্তার বলেন, ‘তিনি মনে
করেন, মালালাকে পাকিস্তান তথা ইসলামের
বিপক্ষে দাঁড়াতে পরিকল্পিতভাবে পাঠানো
হয়েছিল।’
অক্টোবর 1997 : হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে
হাঙ্গেরিয়ান মা-বাবার ঘরে মালালা জন্ম গ্রহণ
করেন। তাঁর নাম জেইন।
4 অক্টোবর 2002 : তাঁর মা-বাবা সিআইয়ের
সঙ্গে যুক্ত হন এবং তাঁদের একটি সংক্ষিপ্ত
সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
7 অক্টোবর 2003 : তাঁরা পাকিস্তানে ঢোকেন
এবং সোয়াতে একটি এনজিওতে কাজ শুরু করেন।
সে সময় তাঁরা আইএসআইয়ের একজন লো-
লেভেল এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং
তাঁর পুরো পরিবারকে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তর
করেন। তাঁরা জেইনকে তাঁর কাছে রেখে যান।
পরবর্তী সময়ে ওই এজেন্ট জেইনের নাম
পরিবর্তন করে রাখেন মালালা।
30 অক্টোবর 2007 : মালালা ব্লগে লেখা শুরু
করেন এবং সেখানে তিনি সোয়াতের
চরমপন্থীদের অস্ত্র থেকে বিরত থাকার আহ্বান
জানান।
21 অক্টোবর 2011 : চরমপন্থীরা তাঁকে
অনুরোধ করেন এ ধরনের ব্লগ না লিখতে।
1 অক্টোবর 2012 : সিআইএ নিউ ইয়র্কে
বসবাসকারী ইতালিয়ান-আমেরিক
ান বংশোদ্ভূত
রবার্ট নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করে
মালালার উপর অ্যাটাকের নাটক মঞ্চস্থ করার
জন্য।
7 অক্টোবর 2012 : সিআইএ মালালার ওপর
মিথ্যা গুলিবর্ষণের পরিকল্পন করে এবং এ
ব্যাপারে মালালা ও তাঁর পরিবারকে ব্রিফ করা
হয়।
11 অক্টোবর 2012 : ইতালিয়ান-আমেরিকান এ
ব্যক্তি সোয়াতে প্রবেশ করে একজন উজবেক
হিসেবে।
12 অক্টোবর 2012 : রবার্ট নামের ওই
বন্দুকধারী ব্যক্তি মালালার উপর গুলি চালানোর
নাটক মঞ্চস্থ করে। এ সময় মালালা মারাত্মক
আঘাত পাওয়ার ভান করেন। পূর্ব পরিকল্পনার
অংশ হিসেবে একটি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে
পৌছায় এবং মালালাকে নিয়ে যায়। এরপর
পশ্চিমা মিডিয়াগুলো সারা বিশ্বে প্রচার করে
মালালাকে তালিবানরা গুলি করেছে। এরপর
মালালাকে তারা ইউরোপে নিয়ে যায়। এরপর
মালালার চিকিৎসা এবং সুস্থতার নাটক। এরপর
ওখানেই তার থেকে যাওয়া এবং পড়াশোনা।
এরপর মালালাকে নোবেল প্রাইজ প্রদান।
মালালার আত্মজীবনী মূলক বই 'আই অ্যাম
মালালা' পাকিস্তান সহ পৃথিবীর অধিকাংশ
মুসলিম দেশই নিষিদ্ধ করেছে।মালালার বইটিতে
ইসলাম অবমাননাকারী মুরতাদ লেখক সালমান
রুশদির প্রশংসাসূচক কথাবার্তা থাকার পাশাপাশি
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কুৎসিত
অবমাননা মূলক কথাবার্তা বলা হয়েছে।
এই সমস্ত তথ্য থেকে বোঝা গেল মালালা
আসলে কোনও মুসলমান নয়, একজন মুনাফিক।
সে আসলে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা
ঘুঁটি, যাকে খুব সুকৌশলে কাফেররা ঈসলামের
বিরুদ্ধে ব্যাবহার করেছে। সেহেতু ইসলাম এবং
মুসলমানদের সম্পর্কে তার কোনও বক্তব্য বা
মূল্যায়নের কোনো মূল্য মুসলমানদের কাছে
নেই। সে আদতে একজন ঘৃণ্য মুনাফিক।
.........
সাংবাদিকঃওসমান গনি ফরহাদ

Comments